下载 APKPure App
可在安卓获取পবিত্র শবে বরাতের আমল ও ফজীলত的历史版本
পবিত্রশবেবরাতেরআমলওফজীলত
মুফতি মাহমুদ হাসান : মহা দয়ালু আল্লাহ তায়ালা নিজ বান্দাদের ওপর দয়া ও ক্ষমার কেবল অসিলা তালাশ করেন, যেকোনো পথেই হোক ক্ষমা করার বাহানা খোঁজেন। তাই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা তাঁর গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য বিভিন্ন স্থান ও সময়-সুযোগ বাতলে দিয়েছেন, যাতে বান্দা নিজ কৃতকর্মে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায়, আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেবেন।
সেসব সময়ের একটি হলো শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত, যাকে আমাদের প্রচলিত ভাষায় শবেবরাত বলা হয়। কোরআনে কারিমের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা বরকতময় রাত, আর হাদিস শরিফে এটি ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ বলে উল্লেখ রয়েছে।
আমাদের বর্তমান সমাজে মানুষ এ রাত নিয়ে অনেক প্রান্তিকতার শিকার। একটি দল তা পালনে এ পরিমাণ বাড়াবাড়ি করে যে মসজিদ ও বাড়িঘরে আলোকসজ্জা, কবরে পুষ্প অর্পণ, আতশবাজি, হালুয়া-রুটি ও মিষ্টি বিতরণকেই এ রাতের আমল বানিয়ে নিয়েছে।
ইসলামী শরিয়তে এ ধরনের কুসংস্কারের কোনো ভিত্তি নেই। পক্ষান্তরে এর সম্পূর্ণ বিপরীতে একটি দল উপরোক্ত ভ্রান্ত কাজকর্মের বিরোধিতা করতে গিয়ে শবে বরাতের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে বসেছে এবং তারা এ রাতের কোনো বৈশিষ্ট্যই মানে না; বরং এ রাতের সব কিছুকেই বিদআত বলে থাকে।
বাস্তবে এ দলটিও ভ্রষ্টতায় রয়েছে, কেননা শরিয়তে ওইসব কুসংস্কারের কোনো ভিত্তি না থাকলেও শবে বরাতের একাধিক ফজিলত, তাৎপর্য ও বিভিন্ন করণীয় কোরআনে কারিম ও সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে অতি সংক্ষেপে এর বিবরণ পেশ করা হলো।
ক্ষমা ও রহমতের রজনী শবে বরাত
হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক-বিদ্বেষী লোক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হা. ৫৬৬৫, আল মু'জামুল কাবীর ২০/১০৯, শুআবুল ইমান, হা. ৬৬২৮)।
অষ্টম শতাব্দীর যুগশ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ আল্লামা নূরুদ্দীন হাইসামি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সূত্রের সব বর্ণনাকারী 'নির্ভরযোগ্য'। (মাজমাউজ জাওয়াইদ ৮/৬৫)।
Last updated on 2019年04月20日
পবিত্র শবে বরাতের আমল ও ফজীলত
পবিত্র শবে বরাতের আমল ও ফজীলত
1.0.5 by Appachino
2019年04月20日