Use APKPure App
Get ইসলামিক জীবন বিধান old version APK for Android
الطريقة الإسلامية في الحياة هي أفضل مثال للحياة البشرية
আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য যেসব ইসলামী বিধান প্রণয়ন করেছেন, তা উভয় জগতে কল্যাণের বার্তা সুনিশ্চিত করে। ইসলামের বিধান পালনে ব্যক্তি যেমন পরকালে চিরস্থায়ী সুখের নীড়ে থাকবে, তেমনি দুনিয়ায়ও পাবে সর্বাধিক মঙ্গল। ইসলাম সব বিষয়ে মানুষের কল্যাণ অবধারিত করেছে। কল্যাণ নিশ্চিত করে না, ইসলাম ধর্মে এমন কোনো বিধি-বিধান মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়নি। সব বিধি-বিধানেই আছে কল্যাণ।
অনেকে তো ইংরেজি ভাষায় বলেন, ‘কমপ্লিট কোড অব লাইফ’। যেন ইসলামকে ইংরেজি চর্চার মাধ্যমে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে ইসলামকে তুলে ধরা হচ্ছে।
কিন্তু এই কথাটি অতিরঞ্জিত এবং তাৎপর্যের দিক থেকে খুবই বিভ্রান্তিকর। ইসলামের প্রতি ভালোবাসার আতিশয্যে কেউ যদি এ কথা বলেন তবে তা হালকাভাবে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অর্থপূর্ণ হিসেবে নিলে এই কথাটি মুসলিম সমাজকে মূর্খতার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে কমপ্লিট কোডের ভেতরে আবদ্ধ করে পৃথিবীতে পাঠাননি, বরং পাঠিয়েছেন নিজের প্রতিনিধি মর্যাদা দিয়ে। কমপ্লিট কোডে আবদ্ধ মানুষ আর প্রতিনিধির মধ্যে পার্থক্যটা আকাশ-পাতাল। আর সেই কমপ্লিট কোড যদি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হয় তবে এর অর্থ হয় নিয়তি। বাবুই পাখিকে আল্লাহতায়ালা কারিগর করে পাঠিয়েছেন কত লাখ বছর আগে। আল্লাহর কমপ্লিট কোডের আওতায় বাঁধা বাবুই কিন্তু তার কারিগরি জ্ঞান দিয়ে বাসা বাঁধে লাখ লাখ বছর আগের পূর্বপুরুষের মতোই, কিন্তু মানুষকে আল্লাহতায়ালা পাঠিয়েছেন তার খলিফা করে, কমপ্লিট কোডের ভেতরে তাকে আবদ্ধ করেননি। মানুষ সৃজনশীল ও বিবর্তনশীল। মানুষের জন্য আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ-নিষেধ ও এই সৃজনশীলতা ও বিবর্তনশীলতা বিবেচনায় রেখে। মানুষ চিন্তা করে, বিবেচনা করে, সাধনা করে স্বাধীনভাবে। সাধনা করে সে জীবনের উপকরণ বানায়, প্রতিকূলতা জয় করে; জ্ঞান-বিজ্ঞান, আইন-কানুন, নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষা-সংস্কৃতি তৈরি করে এবং সভ্যতা গড়ে তোলে। আল্লাহতায়ালা সভ্যতার আদি পর্বে নবী-রাসূল পাঠিয়ে মানবজাতিকে সত্য পথের পথনির্দেশ দিয়েছেন মাত্র।
ইসলাম ধর্ম আল্লাহ প্রদত্ত পথনির্দেশ। পথনির্দেশ মানে কমপ্লিট কোড নয়। পথনির্দেশ যদি কমপ্লিট কোড হতো তবে মানুষকে গুহার ভেতরেই থাকতে হতো। অথবা ভাগ্যক্রমে শেষ নবীর আমলের উটের পিঠে চড়ে পানির নহর আর খেজুর বাগানের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াতে হতো।
কিন্তু মানুষ সেখানে থাকেনি এবং সেটাই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রেরিত নবীদের মাধ্যমে এ কথাই বারবার জানিয়েছেন। বিশেষ করে সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে মানবজাতিকে জানিয়েছেন যে, অতীতের চেয়ে আরো উন্নত সভ্যতা গড়ে তোলার দায়িত্ব ‘উম্মতে মুহাম্মদির’। নিয়তির কমপ্লিট কোডে বাঁধা প্রাণীর পক্ষে সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব শুধু স্বাধীন, সক্ষম ও সাধনালিপ্ত মানুষের পক্ষে। মুসলিম সমাজের আজকের বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে এই যে, আমরা আল্লাহর দেওয়া পথনির্দেশ অনুশীলন করে নিজেদের সক্ষমতা, স্বাধীনতা ও বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সাধনায় লিপ্ত হওয়া থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছি। আর এর চেয়েও খারাপ যে কাজটি এখন শুরু হয়েছে তা হলো ইসলামকে ‘কমপ্লিট কোড অব লাইফ’ বলে আত্মশ্লাঘার অন্ধকারে নিজেদের কর্তব্য আড়াল করার তত্ত্ব আবিষ্কার করা। কমপ্লিট কোডের কথাটা বাহ্যত বেশ ভালো শোনা গেলেও নির্বোধ আত্মশ্লাঘার এই ধারা মুসলিম সমাজকে অজ্ঞতা ও দায়িত্বহীনতার অন্ধকারে নিপতিত করার পথই সুগম করবে।
তথাকথিত কিছু শিক্ষিত লোক যখন এ কথাটা প্রচার করেন তখন তাদের একটু ভেবে দেখা দরকার পরিপূর্ণ জীবনবিধান বিষয়টা আসলে কী? মানুষ আল্লাহতায়ালার এমন এক মহান সৃষ্টি, মানবজীবন এমন গভীর ও বি¯তৃত এক মহাজীবন, যা কখনোই পরিপূর্ণ জীবনবিধানের আওতায় আসতে পারে না। একটি মুরগির বাচ্চার জীবন বিধিবদ্ধ করতে হলেও কয়েক খণ্ড বই লিখতে হয়, নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে নতুন খণ্ড বের করতে হয়। আর মানুষের জীবন কীভাবে পরিপূর্ণ বিধানবদ্ধ হয়! মানুষের জীবন যে পরিপূর্ণ জীবনবিধানের আওতায় আসতে পারে না, এটা কোরআন শরিফে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। কোরআন শরিফে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি আয়াত আছে। এর মধ্যে মাত্র ৫০০ আয়াতের মাধ্যমে আদেশ-নিষেধ জারি করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধের দরকার মানুষের জীবনে আছে। তবে এর চেয়ে বেশি দরকার উপলব্ধি ও চেতনার। কলেবরের দিক থেকে তাকালেও আমরা দেখতে পাই কোরআন শরিফে মানুষের চৈতন্য বিকাশের চেষ্টা কতগুণ বেশি। কোরআন ও রিসালাতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মানুষকে প্রধানত জীবনবিধান দেননি, চৈতন্য বিকাশের অবলম্বন দিয়েছেন।
Last updated on 09/07/2021
ইসলামী জীবন বিধান মানব জীবনের সর্বোত্তম আদর্শ
محمل
Mohanad Mishleb
Android متطلبات النظام
Android 4.1+
الفئة
الإبلاغ
ইসলামিক জীবন বিধান
1.0.3 by Village It Institute
09/07/2021