স্টিফেন-হকিং সমগ্র


1.0 oleh Seraj Sahjahan
Nov 28, 2020

Tentang স্টিফেন-হকিং

স্টিফেন-হকিং সমগ্র অফলাইনে পড়ি

স্টিভেন উইলিয়াম হকিং (বিকল্প প্রতিবর্ণীকরণে স্টিফেন হকিং) (ইংরেজি: Stephen William Hawking; ৮ই জানুয়ারি, ১৯৪২ – ১৪ই মার্চ, ২০১৮) একজন ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী , গণিতবিদ, বিশ্বতাত্ত্বিক ও বিজ্ঞান-বিষয়ক জনপ্রিয় ধারার লেখক। তাঁকে ২০শ শতকের অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। হকিং যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক মহাবিশ্বতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল কসমোলজি) প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসীয় অধ্যাপক ছিলেন[১৪] এবং ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর এই পদ থেকে অবসর নেন।[১৫] এছাড়াও তিনি কেমব্রিজ নগরীর গনভিল অ্যান্ড কিজ কলেজের সভ্য (ফেলো) হিসেবে কাজ করেন।

হকিং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড নগরীতে একটি চিকিৎসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে অক্সফোর্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ নামক প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং ১৭ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীতে সম্মানসহ কলাবিদ্যায় স্নাতক উপাধি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ক্যামব্রিজ নগরীতে ট্রিনিটি হলে স্নাতোকত্তর পর্যায়ের অধ্যয়নকর্ম শুরু করেন এবং সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে ফলিত গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি করেন, যেখানে তাঁর গবেষণার বিশেষায়িত ক্ষেত্র ছিল সাধারণ আপেক্ষিকতা ও বিশ্বতত্ত্ব।

১৯৬৩ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে হকিংয়ের দেহে ধীরগতিতে অগ্রসরমান একপ্রকার চেষ্টীয় স্নায়ুকোষ রোগের প্রারম্ভিক জীবনকালীন সূত্রপাত নির্ণয় করা হয়, যে রোগের নাম পেশীক্ষয়কারী পার্শ্বিক কাঠিন্য রোগ (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস) বা লু গেরিগের রোগ। রোগটির কারণে হকিং পরবর্তী দশকগুলিতে ধীরে ধীরে ক্রমাগত উত্তরোত্তর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।[১৬][১৭] তবুও বহু বছর যাবৎ তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার পরও তিনি এক ধরনের ভাষা-উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্যে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতেন। প্রথমে হাতে রাখা একটি সুইচের মাধ্যমে এবং শেষ পর্যন্ত গালের একটিমাত্র পেশীর সাহায্যে তিনি যন্ত্রটি পরিচালনা করতেন।

তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের প্রধান অবদান দুইটি। প্রথমত তিনি সতীর্থ রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতার প্রসঙ্গকাঠামোর ভেতরে মহাকর্ষীয় অদ্বৈত অবস্থান সংক্রান্ত কিছু উপপাদ্য প্রদান করেন, যাদের নাম পেনরোজ-হকিং অদ্বৈত অবস্থান উপপাদ্যসমূহ। দ্বিতীয়ত তিনি অনিশ্চয়তার তত্ত্ব কৃষ্ণগহ্বর-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণাপ্রবাহ বিকিরিত হয়। এই বিকিরণকে বর্তমানে হকিং বিকিরণ (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) নামে অভিহিত করা হয়।[১৮] এছাড়া হকিং প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের একীভবনের মাধ্যমে একটি বিশ্বতত্ত্ব নির্মাণের প্রচেষ্টা চালান। তিনি কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের বহু-বিশ্ব ব্যাখ্যার বলিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন।[১৯][২০]

হকিং জনপ্রিয় ধারার বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করে বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করেন। এই গ্রন্থগুলিতে তিনি তঁর নিজের তত্ত্ব ও বিশ্বতত্ত্ব নিয়ে সাধারণ আলোচনা করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (আ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম) ব্রিটিশ দ্য সানডে টাইমস পত্রিকার সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায় রেকর্ড ভঙ্গকারী ২৩৭ সপ্তাহ সময়কাল ধরে বিদ্যমান ছিল। তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানিত সভ্য বা ফেলো[২১] এবং পন্টিফিক্যাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ছিলেন।[২২] ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার "প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম" (রাষ্ট্রপতির মুক্তি পদক) খেতাবে ভূষিত হন। ২০০২ সালে ব্রিটিশ গণমাধ্যম সংস্থা বিবিসি পরিচালিত যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের "সেরা ১০০ যুক্তরাজ্যবাসী" ("হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট ব্রাইটন্‌স") নামক জরিপে তিনি ২৫তম স্থান অধিকার করেন। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে চেষ্টীয় স্নায়ুকোষ রোগে ভোগার পরে হকিং ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[২৩]

Informasi APL tambahan

Versi Terbaru

1.0

Diunggah oleh

Heru Galih

Perlu Android versi

Android 5.0+

Laporkan

Tandai sebagai hal yang tak patut

Tampilkan Selengkapnya

Use APKPure App

Get স্টিফেন-হকিং old version APK for Android

Unduh

Use APKPure App

Get স্টিফেন-হকিং old version APK for Android

Unduh

স্টিফেন-হকিং Alternatif

Mendapatkan lebih banyak dari Seraj Sahjahan

Menemukan