Dua Jameela Urdu - دعائے جمیلہ

আপনি ইতিমধ্যেই জানেন, দোয়া ই জামিলা আসমাউল হুসনার সুন্দর সংগ্রহ

ইংরেজিতে দুয়া ই জামিলার উপকারিতা

আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন যে, দুয়া-ই জামিলা হল আসমাউল হুসনার সুন্দর সংকলন, অর্থাৎ আল্লাহর সুন্দর নাম (সর্বোত্তম নাম) যা সালাতুল ফজরের (ফজরের নামাজ) পরে পড়তে হয়। একে দুয়া ই জামিলা বলা হয় কারণ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বেশ কয়েকটি নাম একসাথে রাখা হয় এবং সম্মিলিতভাবে পাঠ করা হয়। এখানে আপনি উর্দুতে দুয়া ই জামিলাহ এর উপকারিতা সম্পর্কে শিখবেন, অর্থাৎ দুয়া ই জামিলাহ কি ফজিলত।

দুয়া-ই জামিলা সুবিধা, অর্থাৎ দুয়া-ই জামিলা কি ফজিলত-এ এগিয়ে যাওয়ার আগে, আপনাকে অবশ্যই ইসলামে, অর্থাৎ কুরআন ও হাদিসে আল্লাহর নামের তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে হবে। আল্লাহ সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সুন্দর নামের মহান গুরুত্ব পবিত্র কোরআনে স্বয়ং আল্লাহ ব্যাখ্যা করেছেন। আসমা-উল-হুসনা (الۡأَسۡمَآءُالۡحُسۡنَیٰ) এর তাৎপর্য তুলে ধরে দুটি কুরআনের রেফারেন্স এবং একটি হাদিস এখানে উদ্ধৃত করা হচ্ছে। আপনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে এবং আশীর্বাদ পাওয়ার যোগ্য করতে তাদের মাধ্যমে যান।

কুরআনের রেফারেন্স 1: পবিত্র কুরআনের 59 অধ্যায়ে (সূরা আল-হাশর), আয়াত 24, এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে বিশ্বের সর্বকালের সেরা উপাধিগুলি হল আল্লাহর সুন্দর নামগুলি। শুধু মনে রাখবেন, "সর্বোত্তম নাম তাঁরই"।

وَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْعَوْضُهُوَاتِ

(আল-কুরআন: 59:24)

ইংরেজি অনুবাদ: “তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপকার; সর্বোত্তম নাম তাঁরই। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই তাঁকে মহিমান্বিত করছে। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।"

এই আয়াতে কতজন আসমা-উল-হুসনা বর্ণিত হয়েছে? এই আয়াতে আল্লাহর পাঁচটি নামের তালিকা রয়েছে, যেমন। الْعَزِيزُ, الْمُصَوِّرُ, الْبَارِئُ الْخَالِقُ এবং الْحَكِيمُ যার অর্থ যথাক্রমে স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপকার, পরাক্রমশালী এবং প্রজ্ঞাময়। আসমা-উল-হুসনার অর্থ থেকে এটি স্পষ্ট যে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতিটি নাম তার গুণাবলী, বৈশিষ্ট্য বা বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটিকে মহাবিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং অভিভাবক হিসাবে বর্ণনা করে।

কোরানের রেফারেন্স 2: নোবেল বই থেকে 7 অধ্যায়ের (সূরা আল-আরাফ) 180 নম্বর আয়াতটি সর্বশক্তিমান আল্লাহকে তাঁর সুন্দর নাম দ্বারা ডাকার বাধ্যবাধকতার উপর আরও বেশি জোর দেয়। “فَادْعُوهُ بِهَا” (অর্থাৎ, “তাই তাদের দ্বারা তাকে ডাকুন”) শব্দগুলো আল্লাহর নির্দেশকে নির্দেশ করে যে তাকে এই সুন্দর নামগুলো দ্বারা ডাকা এবং করুণার জন্য আহ্বান করা উচিত।

وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا ۖ وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَائِهِ ۚ كَيُجْزَوْنَ مَاْنَ مَاْنَ

(7:180)

ইংরেজি অনুবাদ: “এবং আল্লাহর জন্যই সর্বোত্তম নামসমূহ, অতএব সেগুলো দ্বারা তাঁকে ডাক। আর তাদের [সঙ্গে] ত্যাগ কর যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বিচ্যুতি করে। তারা যা করেছে তার প্রতিদান পাবে।”

এই আয়াতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, আল্লাহর সৃষ্ট জীব হিসেবে আমাদেরকে আসমাউল হুসনার সাথে দয়া ও আশীর্বাদের জন্য তাকে ডাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, এখানে আসমা উল হুসনা সম্পর্কে যারা বিচ্যুতি করে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার এবং ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর স্পষ্ট অর্থ হল, তাঁর নামের ব্যাপারে বিচ্যুতি অনুশীলন করা মহাপাপ।

হাদিস থেকে রেফারেন্স: হজরত আবু হুরায়রা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহর নিরানব্বইটি (৯৯)টি নাম রয়েছে, অর্থাৎ একটি বাদে একশটি। যে তাদের গণনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহীহ আল-বুখারী 50:894)।

দুয়া ই জামিলা কি ফজিলত:

দোয়া ই জামিলার উপকারিতা ইতিমধ্যেই উপরে উদ্ধৃত নোবেল কুরআনের আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। শেষ ঐশী গ্রন্থে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ নিজেই মানুষকে (তাঁর সৃষ্টিকে) আদেশ দিয়েছেন আসমা উল হুসনা (তার সুন্দর নাম) দ্বারা তাকে ডাকতে।

প্রতিদিন এই দোয়াটি করলে আল্লাহর অগণিত নিয়ামত পাওয়ার অধিকারী হবেন। এদিকে আপনার ছোট-বড় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। কিছু দুয়া-ই জামিলার সুবিধা নিম্নরূপ তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে:

আল্লাহ আপনার প্রতি অত্যন্ত সদয় হবেন (যদি আপনি প্রতি নামাজের পর এই দুআ পাঠ করেন)।