আমরা আপনার ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য এই ওয়েবসাইটে কুকি এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করি।
এই পেজে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করে আপনি আমাদের Privacy Policy and কুকি নীতিতে আপনার সম্মতি দিচ্ছেন।
ঠিক আছে আমি সম্মতি জানাচ্ছি আরো জানুন

মদীনায় হিজরত স্ক্রিনশট

মদীনায় হিজরত সম্পর্কে

Migrated to Madinah

০২. মদীনায় হিজরত

কিছুক্ষন অবস্থানের পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) বাগান থেকে বেরিয়ে মক্কার পথে রওয়ানা হলেন। মানসিকভাবে তিনি ছিলেন বির্পযস্ত। কারণে মানায়েল নামক জায়গায় পৌঁছার পর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এলেন, তাঁর সাথে পাহাড়ের ফেরেশতাও ছিলেন। তারা আল্লাহর রসুলের কাছে অনুমতি নিতে এসেছিলেন যে, যদি তিনি বলেন, তাহলে এর অধিবাসীদের দু’টি পাহাড়ের মধ্যে পিষে দিবেন।

এ ঘটনার বিবরণ বোখারী শরীফে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুলকে একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ওহুদের যুদ্ধের থেকে মারাত্মক কোনদিন আপনার জীবনে এসেছিলো কি ? রসুলুল্লাহ (সাঃ)’বললেন, তোমার কওম থেকে আমি যে বিপদের সম্মুখিন হয়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল তায়েফের দিন। আমি আবদে ইয়ালিল ইবনে আবদে কুলাল সন্তানদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলাম। কিন্ত তারা আমার দাওয়াত গ্রহণ করেনি। আমি দুঃখ-কষ্ট ও মানসিক বির্পযস্ত অবস্থায় “কারোন ছাআলাবে” পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেললাম। সেখানে মাথা তুলে দেখি মাথার ওপরে এক টুকরা মেঘ। ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি সেখানে হযরত জিব্রাঈল (আঃ)। তিনি আমাকে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা যা বলেছে, আল্লাহ তাআলা সবই শুনেছেন। আপনার কাছে পাহাড়ের ফেরেশতাদের পাঠানো হয়েছে। এরপর পাহাড়ের ফেরেশতারা আমাকে আওয়াজ দিলেন, সালাম জানালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসুল, হ্যাঁ এ কথা সত্যই। আপনি যদি চান তাহলে আমরা ওদেরকে দুই পাহাড়ের মাঝে পিষে দিব। নবী করিম (সাঃ) বললেন, না, আমি আশাকরি আল্লাহ তাআলা ওদের বংশধরদের মধ্যে এমন মানুষ সৃষ্টি করবেন, যারা শুধু আল্লাহর এবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না।

রসুলুল্লাহ (সাঃ)’র এই জবাবে তাঁর দূরদর্শিতা বিচক্ষনতা, অনুপম ব্যক্তিত্য ও উত্তম মানবিক চেতনার প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। মোট কথা, আসমানের উপর থেকে আসা গায়েবী সাহায্যে তাঁর মন শান্ত হয়ে গেল। রসুলুল্লাহ (সাঃ)’মক্কার পথে পা বাড়ালেন। ওয়াদিয়া নাখালা নামক জায়গায় এসে তিনি থামলেন। এখানে তাঁর অবস্থানের মত জায়গা ছিল দুইটি। এক জায়গার নাম “ আসসাইলুল কাবির” অন্য জায়গা হলো জায়মা। উভয় জায়গায় পানি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সজীবতা বিদ্যমান ছিল। এ দু;টি জায়গার মধ্যে তিনি কোথায় অবস্থান করেছিলেন, সে সম্পর্ক সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

নাখালায় রসুলুল্লাহ (সাঃ)’ কয়েকদিন কাটান। সেখানে আল্লাহ রব্বুল আলামিন, জীনদের দুইটি দল তাঁর কাছে প্রেরণ করেন। পবিত্র কোরআনের দুই জায়গায় “সূরা আহক্বাফ ও সূরা জীনে” এদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

সূরা আহকাফে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “স্মরন করো, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জীনকে, যারা কোরআন পাঠ শুনছিলো। যখন ওরা তার কাছে উপস্থিত হলো, ওরা একে অপরকে বলতে লাগলো, চুপ করে শ্রবন করো। যখন কোরআন পাঠ সমাপ্ত হলো, তখন ওরা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল এক একজন সতর্ককারীরুপে। এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবন করেছি যা, অবতীর্ণ হয়েছে মুসা(আ) এর উপর। এটি পুর্ববর্তী কিতাবকে সমর্থন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। হে আমাদের সম্প্রদায়, আমাদের দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। আল্লাহ তাআলা তোমাদের পাপ মাফ করে দিবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি থেকে তোমাদের রক্ষা করবেন।” {২৯-৩১,৪৬}

সূরা জীনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

“ বল আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জীনদের একটি দল মনযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছে, আমরাতো এক বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি, যা সঠিক পথ নির্দেশ করে, ফলে আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থাপন করবো না।“ সূরা জীন এর পনেরটি আয়াত পর্যন্ত এর বর্ণনা রয়েছে।

উল্লেখিত আয়াত সমূহের বর্ণনা ভঙ্গি থেকে বুঝা যায় যে, নবী করিম (সাঃ) জিনদের আসার কথা প্রথম দিকে জানতেন না। কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে তাঁকে জানানোর পর আল্লাহর রসুল (সাঃ) এ সম্পর্কে অবহিত হন। কোরআনের আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, এটা ছিল জীনদের প্রথম আগমণ। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে, পরবর্তী সময়ে তাদের যাতায়াত চলতে থাকে।

জীনদের আগমণ এবং ইসলাম গ্রহণ প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর পক্ষ থেকে ছিল দ্বিতীয় সাহায্য। আল্লাহর অদৃশ্য ভান্ডার থেকে তিনি এ সাহায্য লাভ করেন। এ ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কিত অন্যান্য আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় রাসুলকে দ্বীনি দাওয়াতের সাফল্যের ব্যাপারে সুসংবাদ দিয়েছেন এবং এ কথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, পৃথিবীর কোন শক্তিই দ্বীন ইসলামের দাওয়াতের সাফল্য ও অগ্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে টিকতে পারবে না। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, “কেউ যদি আল্লাহ তাআলার দিকে আহবানকারীর ডাকে সাড়া না দেয়, তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যর্থ করিতে পারিবে না এবং আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন

সর্বশেষ সংস্করণ 1.0 এ নতুন কী

Last updated on May 4, 2017

Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!

অনুবাদ লোড হচ্ছে...

অতিরিক্ত অ্যাপ তথ্য

সাম্প্রতিক সংস্করণ

মদীনায় হিজরত আপডেটের অনুরোধ করুন 1.0

Android প্রয়োজন

4.0.3 and up

আরো দেখান
APKPure সাবস্ক্রাইব করুন
সেরা অ্যান্ড্রয়েড গেমস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির প্রাথমিক রিলিজ, সংবাদ এবং গাইডগুলিতে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য প্রথম হন।
না ধন্যবাদ
নিবন্ধন করুন
সফলভাবে সাবস্ক্রাইব!
আপনি এখন এপকপুরে সাবস্ক্রাইব করেছেন।
APKPure সাবস্ক্রাইব করুন
সেরা অ্যান্ড্রয়েড গেমস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির প্রাথমিক রিলিজ, সংবাদ এবং গাইডগুলিতে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য প্রথম হন।
না ধন্যবাদ
নিবন্ধন করুন
সাফল্য!
আপনি এখন আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করেছেন।