এ পি জে আবদুল কালাম ছিলেন ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি। তিনি ছিলেন লেখক ও দার্শনিক।
আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আবদুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ই অক্টোবর এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২৭ই জুলাই ২০১৫ সালে। দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন আবদুল কালাম কিন্তু তাতে কী? দরিদ্রতাকে তিনি আমলে নেননি। যার ফলে তার মেধার কাছে দরিদ্রতা পর্যুদস্ত হয়ে তাকে রকেটবিজ্ঞানী এমনকি সফল রাষ্ট্র নায়কে পরিণত করে। উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ভারতের আন্ত:দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবসার হাতেখড়ি তার হাতেই।
১৯৯৮ সালে ভারতে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষায় তার অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। ২০০২ সালে উনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ভারতের কেউই তাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক করেনি। তিনি নিজে কখনোই জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে এমন বক্তব্য দিতেন না। সবসময় শিক্ষাসুলভ আচরণকেই প্রাধান্য দিতেন সর্ব্বোচ্চ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, গুজরাটে মুসলিম নিধনের মতো জঘন্য কাজে সরকারের ইন্ধনের একটি তথ্য চারদিকে ছড়িয়ে পরলে ভারত সরকার একজন মুসলিমকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নিজের দায় এড়াতে চেয়েছিল। আর আবদুল কালাম ব্যক্তি হিসেবে সে যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন। সুতরাং আবদুল কালাম আজাদ যেমন সফলতায় কোনো অজুহাত দাঁড় করাননি, তবে আপনি কেন? পাড়ি দিন সপ্নের পথে, সফল হয়ে তবেই ফিরুন বাড়ি, শুভকামনা।